অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)) বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ। এছাড়াও জটিল আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যতার কারণে ক্রমবর্ধমান চিকিৎসাজনিত জটিলতার কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। লিঙ্গবৈচিত্র্য বা নানা সামাজিক বৈষম্য কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যগত আচরণকে প্রভাবিত করে তা যাচাই করার জন্য সহায়ক নানা সরঞ্জাম নিয়ে এই নির্দেশিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য হল কমিউনিটির মানুষদের মাঝে এএমআর নিয়ে কার্যরত গবেষক ও প্র্যাক্টিশনারদের গবেষণার ডিজাইন, ইন্টারভেনশন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন করার সময় লিঙ্গ ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরবিন্যাসের আন্তঃসম্পর্কের প্রভাব বিবেচনা করতে সহায়তা করা।
অন্যান্য পাঠকরাও পুরো গবেষণা প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ এবং ইন্টারসেকশনালিটির প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে আগ্রহী হতে পারে। এই উপাদানগুলি বিবেচনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা কমিউনিটির সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল একটি ইন্টারভেনশন পরিচালনা করতে পারবে, যা অধিক কার্যকর এবং স্থায়ী হবে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট চাহিদা ও পরিস্থিতি সাপেক্ষে এএমআর সম্পর্কিত বিভিন্ন সমতামূলক নীতিমালা ও কর্মসূচি গঠনে নীতি নির্ধারকরা নির্দেশিকাটির সহায়তা নিতে পারেন। এছাড়া ভবিষ্যতে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বা এএমআর নিয়ে কার্যরত গবেষক এবং অনুশীলনকারীদের জন্য ব্যবহৃত শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রম এবং প্রশিক্ষণ মডিউলগুলিতে লিঙ্গ এবং ইন্টারসেকশনালিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষক এই নির্দেশিকাটি ব্যবহার করতে পারে।
এই প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের আগে, বাস্তবায়নের সময় এবং পরে নারী ও পুরুষের বিভিন্ন অগ্রাধিকার ও চাহিদা এবং বিভিন্ন আন্তঃসম্পর্কীয় সামাজিক শ্রেণীবিভাগ, যেমনঃ বয়স, লিঙ্গ পরিচয়, জাতি, জাতিসত্তা, ধর্ম, অক্ষমতা ও অর্থনৈতিক অবস্থা কীভাবে গবেষণায় বিবেচনা করা হয় অথবা আদৌ বিবেচনা করা হয় কিনা, এ সম্পর্কে গবেষকরা এই কাঠামোগত পদ্ধতি অনুসরণ করে আরও সূক্ষ্মভাবে বুঝতে পারবে।
এএমআর কমিউনিটি এনগেজমেন্ট গবেষণায় লিঙ্গ এবং ইন্টারসেকশনালিটি কে একীভূত করার জন্য একটি স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রদান করার জন্য এই নির্দেশিকাটি ডিজাইন করা হয়েছে।